প্রকাশিত: Fri, Mar 22, 2024 12:00 PM
আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 1:46 PM

[১]সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে রাজধানীতে অসহনীয় যানজট, ভোগান্তি চরমে

মাসুদ আলম: [২] বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর প্রতিটি সড়কে ছিল যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। যানজটের কবলে কর্মস্থলে যাওয়া মানুষ ও সাধারণ যাত্রীরা পড়েন বিপাকে। দীর্ঘ সময় গাড়িতে আটকে থেকে উপায় না পেয়ে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে ছুটেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। বিকেল সাড়ে তিনটায় অফিস ছুটির পর ইফতারের আগ পর্যন্ত ঢাকার সড়কে তীব্র যানজট দেখা যাচ্ছে। যানজটের কারণে অনেককে সড়কে ইফতার করতে হয়। 

[৩] সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে মোহাম্মদপুর, মিরপুররোড, সাইন্স ল্যাবরেটরী, মহাখালী, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, পল্টন, পুরান ঢাকা মতিঝিল, গুলশান, বনানী, উত্তরা, বাড্ডা ও রামপুরাসহ অনেক এলাকায় দেখা গেছে গাড়ির দীর্ঘ জট। হঠাৎ গাড়ি চলা শুরু হলেও তার স্থায়িত্ব বেশিক্ষণ ছিল না। একটি সিগন্যাল পার হতেই দীর্ঘ সময় লেগেছে। আবার অফিস ছুটি হওয়ার পর সড়কে যানবাহনের চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। 

[৪] এছাড়া যত্রতত্র যাত্রী উঠানাম, সড়কে, মার্কেট ও শপিং মল গুলোর সামনে গাড়ি পার্কিয়ের কারণে  যানজট তৈরি হওয়ার প্রধান কারণ। উড়াল সেতুতেও যানজট দেখা যায়। প্রধান সড়কের যানজটের প্রভাব পড়ে পাড়ামহল্লাও। যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে  ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।  অনেক সড়কে অসহায়ের মতো দাড়িঁয়ে থাকতে দেখা যায় ট্রাফিক সদস্যদের। 

[৫] বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী  বশির উদ্দিন বলেন, রমজানের আগে  খিলক্ষেত থেকে ফামর্গেট অফিসে যেতে এক ঘন্টা কম বেশি সময় লাগতো। এখনো দেড় থেকে ২ ঘন্টা লাগে। আবার বিকেল ৩টা থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজট দেখা যায়। রমজান শুরুর পর থেকে সড়কে অসহনীয় যানজট। সড়কের দুই পাশে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। আবার যাত্রীবাহি বাস গুলো সড়কের মধ্যেই যাত্রী উঠানামা করে। এসব কারণে আরও যানজট বেশি। 

[৫] ভাটারার বাসিন্দা নাছির উদ্দিন বলেন, সকালে রামপুরা বনশ্রী যাওয়ার জন্য শাহজাদপুর থেকে রিকশায় উঠেছিলাম। আধা ঘণ্টার পথ লেগেছে এক ঘণ্টা। 

[৬]  ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বলেন, একসময়ে সব যানবাহন গন্তব্যে রওনা দেওয়ায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে অযাচিত যানজট তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলোতে সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করা হয় যা সড়কের প্রশস্ততা কমিয়ে দেয় এবং যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করে। রমজানের শুরু থেকেই ট্রাফিক বিভাগ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সড়কের পাশে অযাচিত পার্কিং না করা থেকে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

[৭] তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত বাস স্টপেজে না দাঁড়িয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের টার্নিং পয়েন্টে যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে করে সড়কের যানবাহনে চলাচলের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটায়। এতে যানবাহনের মুভমেন্ট অনেক কমে যায়। যাত্রীদের গণপরিবহনের চলাচলের ক্ষেত্রে নির্ধারিত স্টপেজে গিয়ে অপেক্ষার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান